নূরুল হক,বিশেষ প্রতিনিধি: যশোরের মণিরামপুরে গাজী রিপন (৪৩) নামে এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে চেক ডিজঅনারের মামলা হয়েছে চেক ডিজঅনার ও প্রতারণার অভিযোগ এনে যশোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী মণিরামপুর আদালতে মামলাটি করেছেন কামিনুর রহমান নামে ভুক্তভোগী।

আদালত মামলাটি আমালে নিয়ে বিবাদীর বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন বলে বাদী পক্ষের আইনজীবি অ্যাড. বশির আহম্মেদ খান।

মামলার বিবরণ ও বাদী পক্ষের আইনজীবির মারফত জানা যায়, ব্যবসায়িক লেনদেন ও পারিবারিক সুসম্পর্ক থাকায় উপজেলার কাশিমনগর গ্রামের আব্দুল মজিদের পুত্র বিবাদী রিপন গাজীকে-একই গ্রামের মৃত আবুল হোসেন মোড়লের পুত্র কামিনুর রহমান ৩৮ লক্ষ টাকা ধার দেন। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে ধারের টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে গাজী রিপন-কামিনুর রহমানকে চলতি ইংরেজি বছরের ১৮ এপ্রিল এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড, যশোর শাখার অনুকুলে ০১৬৬৩৩৩০০০০০১০৩ সঞ্চয়ী হিসাব নম্বরে ৩৮ লক্ষ টাকার একটি চেক দেন। কামিনুর রহমান চেকটি ২৫ মে পূবালী ব্যাংক লিমিটেড, মণিরামপুর শাখার নিজের হিসাব নম্বরে নগদায়নের জন্য উপস্থাপন করলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ গাজী রিপনের উক্ত হিসাব নম্বরটি বন্ধ আছে বলে চেকটি ডিজঅনার করে ফেরত প্রদান করেন। এমতাবস্থায় কামিনুর রহমান আইনজীবির মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশ দিলেও গাজী রিপন ধারের টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হয়। উপায়ন্ত না পেয়ে সে গত ৯ জুলাই যশোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী মণিরামপুর আদালতে চেক ডিজঅনারের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন আদালত মামলা আমলে নিয়ে গাজী রিপনের বিরুদ্ধে সমন জারি করে পরবর্তী ধার্য্যকৃত দিন চলতি বছরের আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর নিজে অথবা আইনজীবির মাধ্যমে বক্তব্য উপস্থাপনের নির্দেশ প্রদান করেন। যার মামলা নং-সিআর-৬৩১/২৩। কামিনুর রহমান জানান, ‘আমারমত অনেকের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে সেগুলো পরিশোধ না করে সে এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছে। ইট ভাটার শেয়ার নেবার কথা বলেও সে কয়েকজনের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে গাজী রিপন রিপনের ব্যবহারিত ০১৭৮৬৩১৭৪১৪ নম্বর মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। তবে তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে কথা হলে তারা জানান, কামিনুর কোন টাকা পাবে না। তার সাথে ভাল সম্পর্কের কারণে গোপনে সে একটি চেকের পাতা হাতিয়ে নিয়েছে চেক ডিজঅনারের মামলা দিয়েছে।